1. news@bijoytv24.news : বিজয় বাংলা টিভি : বিজয় বাংলা টিভি
  2. info@www.bijoytv24.news : বিজয় টিভি ২৪ :
মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

আদমদীঘিতে প্রধান শিক্ষককে মারপিটে আহতকরা ছাত্র হৃদয়ের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন 

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:
স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কৈকুড়ী রহিম-মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমানকে একই বিদ্যালয়ের হৃদয় নামের দশম শ্রেণীর এক ছাত্র মারপিট করে মারাত্মক জখম করেছে। সোমবার বেলা ১১টায় ওই ছাত্রসহ জড়িতদের শাস্তি চেয়ে প্রথমে বিদ্যালয় মাঠে এবং পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শত শত শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে তাঁরা বলেন, হৃদয় অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। তার উশৃঙ্খল আচরন, মাদক সেবন, ইভটিজিং এবং মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার জন্য প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান ক্লাসে তাকে উপদেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে হৃদয়। এরপর তার ফুপু একই স্কুলের শিক্ষক দুলালী খাতুনের প্ররোচনায় প্রধান শিক্ষককে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঁশের লাঠি (খাঁটা) দিয়ে মারপিট করে মুখের ঠোঁট ও নাকে মারাত্মক জখম করে। মানববন্ধন শেষে ওই ছাত্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক এনামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আবুল কালাম আজাদ, তিলোচ শিববাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম, কৈকুড়ী রহিম-মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহম্মেদ, সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও নূরুল ইসলাম প্রমূখ।আহত শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, দশম শ্রেণীর বাংলা ক্লাসে হৃদয়কে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষেধ করার পর সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার অফিসে এসে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর সকল শিক্ষকদের নিয়ে হৃদয়ের আচরন এবং কর্মকান্ডের বিষয় অবগত করতে একটি মিটিং করি। সেখানে হৃদয়ের ফুপু অর্থাৎ শিক্ষক দুলালী খাতুনও উপস্থিত ছিলেন। সম্ভবত তিনি বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে জানিয়েছেন। এরপর গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় হৃদয়ের বাড়ির পাশে আমার মাছ চাষের পুকুরে খাবার দিতে গেলে তার মায়ের সামনেই এলোপাতারী ভাবে আমাকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানিয়রা এগিযে এসে আমাকে উদ্ধার করেন। পরের দিন আমার স্ত্রী আম্বিয়া আক্তার বাদী হয়ে হৃদয়, তার বাবা-মা ও ফুপুর বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলার পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট