প্রকৌশলী বিভাগ-এলজিইডির গাইবান্ধা জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রায় ৩৭ লাখ টাকাসহ নাটোরের সিংড়ায় আটক করে পুলিশ।
পরে বিষয়টি তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে স্বজনদের জিম্মায় ছাড়া হয়।
শুক্রবার দুপুরে সিংড়া থানার ওসি মো. আসমাউল হক বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলায় চলনবিল গেইট এলাকায় তাদের চৌকিতে নিয়মিত তল্লাশি চলছিল। তখন গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীগামী একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারকে থামানো হয়।
গাড়ির আরোহীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছাবিউল ইসলাম পরিচয় দেন।
তখন প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে কালো রঙের ব্যাগে রাখা ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা পাওয়া যায়।
সিংড়া থানার ওসি বলেন, বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় টাকা ও প্রাইভেট কারটি জব্দ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয় ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একরামুল হক বলেন, “অস্বাভাবিক পরিমাণ নগদ টাকা নিয়ে ভ্রমণ ও টাকার উৎস জানতে প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামকে সিংড়া থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
ছাবিউল জমি বিক্রির টাকা নিয়ে গাইবান্ধা থেকে ভাড়া করা প্রাইভেট কারে রাজশাহীতে তার নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছেন।
সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক বলেন, শুক্রবার দুপুরে ওই নির্বাহী প্রকৌশলীকে আদালতে তোলা হয়। পরে এ বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে যেকোনো সময় আইনশৃংখলা বাহিনীকে সহায়তা করবেন মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাকে তার স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
“পাশাপাশি বিষয়টি অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদককেও জানানো হয়েছে বলে সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক সাংবাদিকদের কে জানান ।
এ বিষয়ে মোঃ ছাবিউল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে দুর্নীতিবাজ ছাবিউল ইসলামের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রকাশক ও সম্পাদক : জাহাঙ্গীর আলম বাবু
মোবাইল : ০১৭১১৩১১০৭৪-০১৫৫৬৮১৮৬৮০
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম শেওড়াপাড়া ইকবাল সরণি মিরপুর ঢাকা কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত