খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ১নং আমাদী ইউনিয়নের মসজিকুড় গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গেছেন ঋতু সানা।
পলাশ মন্ডল বলেন ঋতু সানার সঙ্গে আমার ৩ বৎসর পূর্বে উভয় পক্ষের দেখাশোনা ও সম্মতিতে আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে হিন্দু শাস্ত্রীয় বিধান মতে বিবাহ স-সম্পন্ন হয়।বিবাহের পর আমরা উভয়ে সুখে শান্তিতে দাম্পত্য জীবন পরিচালনা করিয়া আসিতে থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রী ঋতু সানার আসল রূপ উম্মোচন হয়। সে হঠাৎ করিয়া সংসারের প্রতি অনীহা, আমার পিতা - মাতা সহ আমার কোন কথায় কর্ণপাত না করা, সে তার স্বাধীন মত চলাফেরা করা এবং শ্বশুরবাড়ি ভ্রমন করিলে আর আসতে না চাওনা এ বিষয়টি আমার শ্বশুর-শাশুড়ি র কাছে জানতে চাইলে তারা কোন কর্ণপাত না করাই আমি আমার শ্বশুরবাড়ির আশপাশে লোকজনের মাধ্যমে গোপনে জানতে পারি যে সবুজ সরকারের সাথে আমার স্ত্রী ঋতু সানার প্রেম-ভালোবাসা ছিল তাহারা বিয়ের পূর্বে কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে যায়, পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজি করার পর সবাইকে হাজির করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে বিষয়টা মীমাংসা করে নেন। কিন্তু আমার স্ত্রীরর পিতা সঞ্জয় কুমার সানা ও মাতা পূর্ণিমা সানা উক্ত বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন করিয়া আমার সাথে বিয়ে দেন। আমি সব কিছু জেনেশুনে মানিয়া স্বাভাবিকভাবে সংসার করাকালীন অবস্থায় গত ইং ০৯/০৩/২০২৫ তারিখে রাত্র আনুমানিক ১০ থেকে ১১ টার ভেতরে আমরা প্রতিদিনের ন্যায় নিয়মিত রাত্রে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে যাই । রাতে আমার আনুমানিক ২টার সময় ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি পাশে আমার স্ত্রী নাই । তৎক্ষণাৎ আমার পরিবার সহ বাড়ির আশেপাশে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করি।আমি বহু জায়গায় খোজাখুজি করিয়া তাকে না পাইয়া পার্শ্ববর্তী লোকের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম আমার স্ত্রী ঋতু সানা সাতক্ষীরা জেলার বাতুয়াডাঙ্গা গ্রামের নকুল সরকারের ছেলে সবুজ সরকারের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। এ সময় আমার স্ত্রী ঋতু সানা স্টিলের বাক্সে রক্ষিত আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য আনুমানিক এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের ইয়ার রিং দুই জোড়া মূল্য ৬৫ হাজার টাকা এবং তরমুজ চাষের এক লক্ষ টাকা একটি রিয়েল মি C ৩১ টাচ মোবাইল ফোন সহ সর্বমোট স্বর্ণালংকার সহ নগদ ৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি এই বিষয়টি তার পিতা-মাতাকে জানালে তারা ঘটনা জানেন না বলে জানাই এবং আমাকে হুমকি পরিদর্শন করেন যে তোমরা আমার মেয়েকে কি করেছ আমার মেয়েকে হাজির কর তা না হলে তোমাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিব আমরা এ বিষয়টি অনুসন্ধান করিয়া জানতে পারি যে আমার স্ত্রী ঋতু সানা তার পিতা -মাতার সহযোগিতায় সবুজ সরকারের সাথে পালিয়ে আত্মগোপন করিয়াছে।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হক জানান,
এ ব্যাপারে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।