সোনারগাঁও থানার সাদীপুর ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড বানিয়াবাড়ি, কাজহড়দি ও নোয়াকান্দি গ্রামের কৃষকের ফসলের জমি নষ্ট করে ইট ভাটার জন্য মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা! কেওডালা থেকে কাজীপাড়া পর্যন্ত প্রায় ২০ টি ইটভাটা রয়েছে! এই ইট ভাটার মাটি সংগ্রহ করা হয় বানিয়াবাড়ী, কাজহরদী, নোয়াকান্দি, বিষ্ণুপুরা, দক্ষিণপাড়া গ্রামের কৃষকের জমির ফসলি ক্ষেত!
মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে বিভিন্ন ড্রাম ট্রাকে করে মাটি বহন করে জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যায়! যদি কোন কৃষক বাধা দেয়, তাহলে কৃষককে নানান ভয় ভীতি দেখিয়ে জমি দখল করে নেয়! কৃষকের একটা জমি ক্রয় করে, আশেপাশের আরো বিশটা জমি নষ্ট করে! জমির মাটি কাটার জন্য বেকু নিয়ে আসা হয়, এবং প্রায় ৩০ ফুট গভীর পর্যন্ত গিয়ে মাটি কাঁটা হয়, এতে করে আশেপাশের জমির মাটি ভেঙ্গে পড়ে, পরে বাধ্য হয়ে ওই জমির মাটি বিক্রি করতে হয়! কিছু বছর আগের ঘটনা, শ্রীরামপুর একটা পানির পাম্প ছিল, আরেকটি বানিয়া বাড়ি এলাকাধিন পানির পাম্প ছিল, আরেকটি পাম্প ছিল কাজহড়দি দক্ষিণপাড়া গ্রামে! এই তিনটি পানির পাম্পে প্রায় ৫০০০ বিঘা জমির চাষ করা হতো! কিন্তু ভূমিদস্যুরা এমনভাবে বিস্তার লাভ করছে, তিনটি পানির পাম্প ই বন্ধ করে দিয়েছে! এই জমি চাষ করে এলাকার লোকজন জীবিকা নির্বাহ করতো! দেশের খাদ্যের চাহিদা পূরণে এই এলাকার কৃষকদের বিশেষ ভূমিকা ছিল! এই জমিগুলো এলাকার কিছু দালালেরা ইট ভাটার মালিকদের সংগ্রহ করে দেয়! দালালদের সিন্ডিকেট অনেক বড়! তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে- হয় ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মুখ বন্ধ করে দেয়!
এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে স্থানীয় কৃষক ও এলাকাবাসীরা ভূমিখোরদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে! এসব অবৈধ ভূমিখোর, ভূমিদস্যু, ভূমির দালালদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকেরা! কৃষকদের একটা দাবি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়ে কৃষকদের জমি রক্ষার্থে অবৈধ ভূমিখোরদের উচ্ছেদ করে আবার ধানের ফসলের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার!
প্রকাশক ও সম্পাদক : জাহাঙ্গীর আলম বাবু
মোবাইল : ০১৭১১৩১১০৭৪-০১৫৫৬৮১৮৬৮০
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম শেওড়াপাড়া ইকবাল সরণি মিরপুর ঢাকা কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত