মোঃ মিজানুর রহমান মিলন
জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা।
দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক সাংবাদিক মোনায়েম হোসেন মন্ডলের বিরুদ্ধে অজ্ঞাতনামা "ক্রাইম অব বল্লমঝাড়" ফেসবুক আইডি থেকে সাংবাদিকতা পেশার বিরুপ বা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে তার নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত কুৎসা বা প্রোপাগান্ডা লিপিবদ্ধ করে প্রকাশ করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উল্লেখিত নাম পরিচয় হীন "ক্রাইম অব বল্লমঝাড়" ফেসবুক আইডি'র মালিকের নাম উদ্ধার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক মোনয়েম মন্ডল
সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করা সাংবাদিক মোনায়েম হোসেন মন্ডলের সাংবাদিকতার বয়স বর্তমানে ৪০ বছর চলছে। দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে ক্রাইম রিপোর্ট করে শুধু এলাকায় নয় দেশের বিভিন্ন স্থানের দূর্নীতির চিত্র তুলে রিপোর্ট করে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। শুধু তাই নয়, অনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ব্যক্তিরা তার নাম শুনলেই এখনও তটস
হিমসিমের মধ্যে পড়েন
সুত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলে ক্লিন ইমেজের যে কয়জন সাংবাদিক আছে মোনায়েম হোসেন মন্ডল তাদের মধ্যে একজন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে মটর সাইকেলের তেলের কথা উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা উল্লেখিত ফেসবুক আইডিতে কুপ্রচারণা চালান।
নির্ভরশীল সুত্র জানায়- সাংবাদিক মোনায়েম হোসেন মন্ডলের মটর সাইকেল নেই। তাই মোটর সাইকেলে তেলের টাকা চাঁদা দাবির বিষয়টি ফেসবুক আইডিতে পূর্ব শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। মোনায়েম হোসেন মন্ডল বর্তমানে দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন। আর তিনি সাংবাদিকতাও ঢাকায় করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট অফ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির অতিরিক্ত মহাসচিব হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যা সারাদেশ ব্যাপী তার সাংগাঠনিক ও পত্রিকা সংক্রান্ত বিষয়ে পদচারণা রয়েছে।
এ ব্যাপারে আসাদ কবির নামের জনৈক ব্যক্তি তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন- আমি এই কথার সাথে এক মত নই, ভালো করে অনুসন্ধান করে মানুষের সমালোচনা করা ভালো। এর থেকে বাঘা বাঘা আছে, যারা আছে যাদের কথা বলা উত্তম, আমার দেখা এবং জানা মতে উনি মানুষ হিসেবে যথেষ্ট বুদ্ধিমান ও ভদ্রলোক। হুমায়ুন হুমায়ুন নামের একটি ফেসবুক আইডিতে তিনি লেখেন- কেটারে তুই, কোন পাগল চোদার বাল তুমি, তুমি যদি এতই ভালো চাও তাহলে মুখোশ পরে আসো কেন! মুখোশ খুলে আসো তাহলেই তো বীরত্বের পরিচয় দেওয়া হবে। আগে নিজেকে শুধরাও!
এম এ শাহীন নামের ফেসবুক আইডি থেকে বলেন- বাঘ রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে। এ রকম হয়েছে আপনাদের অবস্থা। যা বলেন তার ( মোনায়েম মন্ডলের) সামনা সামনি বলেন না কেন? আরো মোঃ ওয়ালিউর রহমান নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে বলেন- বালের রিপোর্ট!
রুপম মিয়া নামের একটি ফেসবুক আইডিতে লেখেন- রাজা যখন রাস্তা দিয়ে হেটে যায় কুত্তার কাম ভোকা, তুই আসলে একটা কুত্তার বাচ্চা সাহস থাকলে সামনে আয়! মোনায়েম একজন সাংবাদিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় লিডার। তার সম্পর্কে উল্টা পাল্টা লেখার সাহস কি পাইলি।
এ ব্যাপারে বল্লমঝাড় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জুলফিকার রহমান বলেন, কারো সাথে যদি ব্যক্তিগত শত্রুতাও থাকে তাহলেও এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা ঠিক হয়নি। আর প্রকাশ্যে বলতে সাহস না পাইলেও তার বিরুদ্ধে না জেনে শুনে উল্টা পাল্টা লিখে একজন মুরুব্বি, সম্মানী ব্যক্তির সম্মানহানি করার দুঃসাহস দেখানো ঠিক হয়নি।
এদিকে সাংবাদিক আঃ রাজ্জাক সরকার তার ফেসবুক আইডিতে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। যা পাঠক মহলের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- বর্তমানে মোনায়েম এর সাংবাদিকতার বয়স চলছে ৪০ বছর। এলাকায় তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। চাঁদাবাজি কেন- আমার জানা মতে গাইবান্ধায় শুধু নয়, উত্তরাঞ্চলে ক্লিন ইমেজের যে কয়জন সাংবাদিক আছে তার মধ্যে মোনায়েমও একজন। আর আপনি বলছেন মটর সাইকেলের তেলের কথা। মোনায়েমের তো মটর সাইকেলই নাই, তেলের কথা অবান্তর। মোনায়েম বর্তমানে দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন। আর মোনায়েম তো সাংবাদিকতা ঢাকায় করেন। আমার মনে হয় মোনায়েমের সাথে আপনার কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে। তাই প্রকাশ্যে বলতে সাহস না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে না জেনে শুনে উল্টা পাল্টা লিখে একজন মুরুব্বি, সম্মানী ব্যক্তির সম্মানহানি করার দুঃসাহস দেখিয়েছেন। করেছেন জঘন্য গু খাওয়া কাজ। ছি ছি ছি....!
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোনায়েম হোসেন মন্ডল বলেন, আমার এক শুভাকাঙ্ক্ষী উল্লেখিত রিপোর্টটি দেখে আমাকে রাতেই জানান। পরদিন আমি গাইবান্ধা সদর থানায় একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি। তিনি আরো বলেন-আমার নামে গত ১২/০৫/২০২৫ ইং দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টার দিকে "কে বা কারা অর্থাৎ অজ্ঞাতনামা "ক্রাইম অব বল্লমঝাড়" ফেসবুক আইডি থেকে আমার সাংবাদিকতা পেশার বিরুপ বা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে আমার নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত কুৎসা বা প্রোপাগান্ডা লিপিবদ্ধ করে প্রকাশ করেছে। এতে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন সহ সম্মানহানি করা হয়েছে। তাই উল্লেখিত নাম পরিচয় হীন "ক্রাইম অব বল্লমঝাড়" ফেসবুক আইডি'র মালিকের নাম উদ্ধার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধা সদর থানায় আবেদন করেছি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন- ফ্যাক আইডিটিতে আমার যে ছবি ব্যবহার করেন, সেই ছবিটিও দুই বছর আগে বগুড়ায় নিউজ ৯৯ পত্রিকা অফিসে উক্ত পত্রিকার সম্পাদক মোঃ মতলুবর রহমান ও প্রকাশক মোঃ মাসুদুর রহমান কর্তৃক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর সময়ের ওই ছবিটিই ব্য
প্রকাশক ও সম্পাদক : জাহাঙ্গীর আলম বাবু
মোবাইল : ০১৭১১৩১১০৭৪-০১৫৫৬৮১৮৬৮০
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম শেওড়াপাড়া ইকবাল সরণি মিরপুর ঢাকা কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত