রাজশাহী ৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসন বরাবরই সকল রাজনৈতিক দলের হ্যাভি ওয়েট প্রার্থীদের ছড়াছড়ি থাকে । তবে অধিকাংশ নির্বাচনে নতুন মুখের দেখা মেলে আসনটিতে। এবারে জনপ্রিয়তার শীর্ষ রয়েছেন শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত বিশিষ্ট শিল্পপতি সমাজসেবক আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার। শীত নিবারণের লক্ষ্যে দ্বারে দ্বারে গিয়ে অসহায় মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ ও বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের 31 দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করে বাড়তি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন।

জানা যায়, অসাধারণ মেধাবী আলহাজ্ব মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার
১৯৯০ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে বি.কম. (একাউন্টিং) ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯২ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম. কম. (একাউন্টিং) কমপ্লিট করেন। ১৯৯৫ সালে The Institute of Chartered Accountants of Bangladesh (ICAB) থেকে সিএ কোর্স কমপ্লিট করেন । সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে Bangladesh Institute of Management(BIM) থেকে Financial Management এর উপর উচ্চতর ডিগ্রি (Post Graduate Diploma in Financial Management) PGDFM ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। ব্যবসায়িক জীবনে পদার্পণ করে, নিজের মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “ইমটেক্স প্যাকেজিং” প্রতিষ্ঠা করেন। এখন তিনি ইমটেক্স গ্রুপের এর অধীনে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। মেশিনারি ব্যবসার ক্ষেত্রে তিনি ঈর্ষণীয় সফলতা অর্জন করেন। সুনামের সাথে তিনি দেশের শীর্ষ স্থানীয় ফুড প্রসেসিং কোম্পানিগুলোর সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছেন।

আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার ছাত্র জীবন থেকেই শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছিলেন।
তিনি জানান, শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি, রাস্তা-ঘাট ও অবকাঠামো নির্মাণ কর্মসূচি, কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচি, জনশক্তি রপ্তানি ইত্যাদি কর্মসূচি আমাকে তাঁর ভক্তে পরিণত করেছে।
বিশেষ করে শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি আমাকে মুগ্ধ করেছে। বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা আমাকে তারেক রহমানের সুখী সমৃদ্ধ ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অংশ গ্রহনে আকৃষ্ট করে তুলেছে।

তিনি আরও জানান, শহীদ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ নূরু ভাইয়ের হাত ধরে রাজনীতিতে আমার হাতে ঘড়ি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষে কাজ করে চলেছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছি। মনোবল চাঙ্গা রাখতে সর্বদা সাহস যুগিয়েছি। আমার প্রাণের সংগঠন বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিলে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে, এলাকার বেকার যুবসমাজ এর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ্ । ইতিমধ্যে ব্যক্তিগত সামর্থের মধ্যে থেকে আমি অনেক বেকার যুবক এর কর্মের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও বেকার যুব সমাজকে টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণ, বাস্তব ভিত্তিক ওয়েবসাইট জ্ঞান ও অভিজ্ঞা বিনিময় এর মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর এর মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা আমার আজন্ম লালিত স্বপ্ন। আমাদের দেশের বিশাল জনগোষ্ঠিকে শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে উৎপাদনের সাথে যুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ কামরুজ্জামান আয়নাল বলেন , আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সাত্তার বিএনপি'র একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী। দুঃসময়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিএনপির পাশে ছিলেন। এমন ব্যক্তি পুঠিয়া দুর্গাপুরের মানুষের পাশে থাকলে এলাকার মানুষের মনের আশা পূর্ণ হবে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার বুঝে পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিএনপি'র প্রবীণ নেতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আশরাফুল কবির বুলু বলেন, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সাত্তার সর্বদাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ও আজ পর্যন্ত তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রতি অবিচল আছেন। তিনি সব সময় সমাজ সেবামূলক কাজের মাধ্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। যেমন রাস্তা-ঘাট মেরামত, মসজিদ-মন্দির ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর উন্নয়নমূলক কাজ, গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো, চিকিৎসায় সহযোগিতা করা, কন্যার বিয়েতে সহযোগিতা করা, গৃহহীনদের বাড়ি ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করা, খাবার পানি সংকট নিরসনে টিউব ওয়েল স্থাপন করা ইত্যাদি । তিনি একজন সৎ , যোগ্য ও জনদরদী ব্যক্তি ।