নিজস্ব প্রতিবেদক
রংপুর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন (প্রস্তাবিত)-এর নির্বাচন ১৭ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৫ মে সন্ধ্যায় সংগঠনের কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এই তারিখ নির্ধারিত হয়। একই সঙ্গে ১২ মে সদস্যপদ হালনাগাদের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রধান লোকমান ফারুক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এই নির্বাচন কেবল একটি সংগঠনের নেতৃত্ব বাছাই নয়, বরং এটি রংপুর অঞ্চলের সাংবাদিক সমাজে একটি সংগঠিত ও নৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা বলেও অনেকে মনে করছেন। রংপুরে গত কয়েক বছরে সাংবাদিকদের মধ্যে নানা বিভাজন, পেশাগত নিরাপত্তাহীনতা ও সংগঠনিক স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন সাংবাদিক সমাজের কাছে নতুন আশা ও গতিময় নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে।
স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় সবাই
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দিকেই ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া নির্বাচন কমিশন সদস্য ও মিডিয়া সেলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠকে একমতক্রমে সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার লোকমান ফারুক এক বক্তব্যে জানান, “সাংবাদিকদের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই আমাদের প্রধান অঙ্গীকার। সকল পক্ষকে নিয়ে একটি সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা হবে।”
চ্যালেঞ্জও আছে, প্রত্যাশাও অনেক
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, “প্রস্তাবিত” নামটি এখনও একটি সীমাবদ্ধতা হিসেবে রয়ে গেছে। সরকারিভাবে স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত এই ইউনিয়নের সাংগঠনিক গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। তবুও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক উদ্যোগ, যা ভবিষ্যতে বৃহত্তর সাংবাদিক ইউনিয়নের ভিত্তি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।
রংপুরের এক সিনিয়র সাংবাদিক জানান, “এই নির্বাচন সাংবাদিক সমাজের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশ, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা এবং অধিকার আদায়ের পাথেয় হতে পারে যদি এটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হয়।”
শিল্পী আক্তার রংপুর ব্যুরো
রংপুর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন (প্রস্তাবিত)-এর এই নির্বাচন একটি নির্দিষ্ট নেতৃত্ব নির্বাচনের চেয়ে বেশি কিছু। এটি রংপুরের সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য ও শৃঙ্খলার প্রতীক হয়ে উঠতে পারে। এখন দেখার বিষয়—এই নির্বাচন কতটা স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, এবং তা সাংবাদিকদের মধ্যে কতটা আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে।
আপনি চাইলে এ রিপোর্টে নির্বাচনী ইশতেহার, প্রার্থীদের নাম বা অতীত সংঘাত ইত্যাদির বিশ্লেষণ সংযোজন করে আরও গভীরতর বিশ্লেষণ তৈরি করা যেতে পারে। সেটা কি দরকার হবে?
প্রকাশক ও সম্পাদক : জাহাঙ্গীর আলম বাবু
মোবাইল : ০১৭১১৩১১০৭৪-০১৫৫৬৮১৮৬৮০
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম শেওড়াপাড়া ইকবাল সরণি মিরপুর ঢাকা কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত