আনিছুর রহমান চট্টগ্রামঃ
গণমাধ্যম দিবসে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক ও কলামিস্ট ওসমান এহতেশামকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম সাংবাদিক মহলের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন এমএ
তৌহিদ,র সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা চসাস,র যোগাযোগ সম্পাদক আনিছুর রহমানের সঞ্চালনায় গত ৬মে ২৫ ইং তারিখে বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা( চসাস) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন ( বিএমইউজে) প্রতিষ্টাতা সভাপতি সোহাগ আরফিন, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি কে এম রুবেল, এম এ তৌহিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থার প্রচার সম্পাদক গাজী গোফরান, সমাজসেবা সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন,নির্বাহী সদস্য প্রনব রাজ বড়ুয়া, নির্বাহী সদস্য তুষার দাস, আনিছুর রহমান, মিন্টু দাশ, আসমত আলী, জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন, জিয়া উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন, সাহাদাত হোসেন,মানববন্ধনে এম এ তৌহিদ তার বক্তব্যে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গণমাধ্যম দিবসে দিবাগত গভীর রাতে একজন তরুন সাংবাদিক এবং কলাম লেখক ওসমান এহতেশামকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার অত্যন্ত নিন্দনীয়।
আমিনুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন তাদের পৃথক পৃথক বক্তব্যে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিঃশর্তে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি এবং গত ৩০শে এপ্রিল বাকলিয়া থানা দিন ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিসে ঘুষ গ্রহণকারি দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য বিগত আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ০৪/০৮/২০২৪ ইং সকাল ১১.৩০ ঘটিকা থেকে ১২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত সময়।
কোতোয়ালী থানাধীন,৩১নং ওয়ার্ড তিনপুলের মাথা রিক্সা চালককে মারধরের ঘটনায় চালক মুহাম্মদ রমজান (৪১),জাতীয় পরিচয়পত্র নং-১৫৯১৯০৬৬৮৩৫৯০, পিতা- মুহাম্মদ শফি, মাতা- হোসনে আরা বেগম, গ্রাম/বয়া- সমদেরপাড়া মসজিদের কামাল উদ্দিনের ভাড়া ঘর, থানা- চাঁন্দগাও জেলা- চট্টগ্রামদ্বয় ফৌজদারি সংবিধির, ১৮৯৮ এর ১৫৪ ধারায়
অনুসারে ৮৩জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় সাংবাদিক ও কলামিস্ট ওসমান এহতেশামকে ৬০ নং আসামির দেখিয়েছেন বাদী। ও-ই দিন ঘটনার সময় এজাহারে উল্লেখ্য তারিখ ও সময়ে সাংবাদিক ওসমান এহতেশাম নিজ বাসায় ছিল।
যাহা মোবাইল নাম্বার ট্রেকিং এবং বিকাল ৩টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে আসার সময় সড়কের ধারে অবস্থিত ভবন গুলোর সিসি ভিডিও ফুটেজ ও-ই বলে দিবে ঘটনার সময় সাংবাদিক ওসমান এহতেশাম কোথায় ছিল? ৪ আগস্টের ঘটনার দীর্ঘ চার মাস পর নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে রিক্সা চালক রমজান, ৮৩ জনকে আসামী করলে ও থানা পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। মামলা হওয়ার দীর্ঘ আটমাস পর ৬০নং আসামি ওসমান গণিকে প্রথম গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
তাও আবার জনস্বার্থ করা
বাকলিয়া ওয়ার্ডে অনুষন্ধানী মূলক রিপোর্টের পর গণমাধ্যম দিবসে।
গত (৩০ এপ্রিল) বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অনুসন্ধান করতে গিয়ে সাংবাদিক ও কলামিস্ট, চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওসমান এহতেসাম এবং সাংবাদিক মো. জাহাঙ্গীর আলম নির্মমভাবে হামলার শিকার হন।
ওয়ার্ড অফিসের দুর্নীতি ও অনিয়মের ভিডিও প্রমাণ সংগ্রহ করার সময় ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের সচিব সমর কৃষ্ণ দে,এবং জন্মনিবন্ধন সহকারী মো. মনসুরুল আলম মানিকের নির্দেশে বাকলিয়া থানা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজেদের বিএনপির নেতা দাবি করে মো. আব্দুল বারেক ও তার অন্যান্য সহযোগী (ফারুক, কবির ও সোহাগ) সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাদের ক্যামেরা ও স্ট্যান্ড ভেঙে ফেলে, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ও ছিনিয়ে নেয়। পরে বাকলিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা গেলেও টাকা ও সাংবাদিকতার অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার হয়নি। পরবর্তীতে আহত জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
জানা যায়, সাংবাদিকরা ওয়ার্ডের জন্মনিবন্ধন সহকারী মো. মনসুরুল আলম মানিকের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ওয়ার্ড অফিসে যাওয়ার পথে এক ভুক্তভোগী নারীর সাথে দেখা হয় তাদের। ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, তিনি ৭০০ টাকার বিনিময়ে একটি জন্মনিবন্ধন সংশোধন করেছেন। এ কথা শোনার পর সাংবাদিকদের অনুরোধে ওই নারীসহ তারা ওয়ার্ড অফিসে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা দেখতে পান, মানিক দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে অফিসের তালা বন্ধ করে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
এ সময় মানিককে ৭০০ টাকা নেওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা সচিবের সামনে স্বীকার করেন এবং ওই নারীকে প্রথমে ৫০০ টাকা ও পরে আরও ১০০ টাকা ফেরত দেন। এরপরই মানিক ও ওয়ার্ড সচিব ফোন করে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে এসে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। সাংবাদিকদের কাছে যারা দুর্নীতির অভিযোগ দিয়েছেন, তারা সবাই এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি অনলাইন ইলেক্ট্রনিক ও নিউজ প্রিন্টে প্রকাশিত হওয়ায় পর থানা পুলিশ ও দূর্নীতি দমন কমিশনের গ্রেফতার এড়াতে অপরাধীরা গত ৩ মে দুইটায় শতাধিক কিশোরগ্যাং টোকাই ও নিজেদের কে বিএনপি নেতা বলে খলিল আহমেদ, ও আজিজের ইন্ধনে বাকলিয়া থানার এলাকায় সাংবাদিক ওসমান এহতেশামের বাসার ভিতরে ঢুকে তাকে বেধড়ক মারধর করে তার আসবাবপত্র ভাংচুর করে লুটপাট চালায় এসময় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে বাকলিয়া থানার পুলিশ হাতে তুলে দেন। পরবর্তী বাকলিয়া থানা তাকে কোতোয়ালি থানায় প্রেরণ করেন।
রাষ্ট্র পক্ষ থেকে বর্তমান সরকার যে কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা দেওয়ার পরেও একজন তরুন সাংবাদিককে এভাবে মব সৃষ্টি করে তার বাসা বাড়ি তে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে গ্রেফতার করা চরম বে'আইনি এবং সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে দায়িত্বরত প্রিন্ট ইলেকট্রনিক টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকবৃন্দ। কারাবন্দী সাংবাদিক ওসমান এহতেশাম কে দ্রুত মুক
প্রকাশক ও সম্পাদক : জাহাঙ্গীর আলম বাবু
মোবাইল : ০১৭১১৩১১০৭৪-০১৫৫৬৮১৮৬৮০
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম শেওড়াপাড়া ইকবাল সরণি মিরপুর ঢাকা কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত