তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি; জাকির হোসেন-টুটুল।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ'র) চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন, তানোর উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, হযরত আলী মাস্টার।
২৩ মে (শুক্রবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি বলেন; ড. এম আসাদুজ্জামানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহ্ তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করেন। শোকবার্তায় তিনি আরো বলেন; “ড. এম আসাদুজ্জামান একজন সৎ, দক্ষ ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারার মানুষ ছিলেন। তার সৃষ্টিশীলতা, সততা ও কর্মনিষ্ঠা আমাদের মাঝে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে বরেন্দ্র অঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কখনও পূরণ হওয়ার নয়। তাই তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি জানায় গভীর সমবেদনা।
তানোর উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি'র) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, হযরত আলী মাস্টার আরও বলেন; রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) এলাকার উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা, আর্থসামাজিক ও মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে আসাদুজ্জামান পরিবারের অবিস্মরণীয় অবদান রয়েছে। রাজশাহীর মরু প্রায় বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষ আমরা তার পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ ও চিরঋণী।
রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগাক্রান্ত জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন। কয়েকদিন ধরে তার শরীরে জ্বরও ছিল।
গত ২২ মে (বৃহস্পতিবার) রাতে তিনি শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। ২৩ মে (শুক্রবার) সকালে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তবে তার আগেই তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
প্রসঙ্গত, গত বছর আওয়ামী সরকারের পতনের পর, ড. এম আসাদুজ্জামানকে বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান হিসেবে পদায়ন করা হয়। ১৯৯২ সালে বিএমডিএ প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : জাহাঙ্গীর আলম বাবু
মোবাইল : ০১৭১১৩১১০৭৪-০১৫৫৬৮১৮৬৮০
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম শেওড়াপাড়া ইকবাল সরণি মিরপুর ঢাকা কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত