1. news@bijoytv24.news : বিজয় বাংলা টিভি : বিজয় বাংলা টিভি
  2. info@www.bijoytv24.news : বিজয় টিভি ২৪ :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

পুবালী সুজের স্বত্ত্বাধিকারী ইসহাক খাঁনের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগ

শিল্পী আক্তার রংপুর ব্যুরো
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

শিল্পী আক্তার রংপুর ব্যুরো
ঢাকার পাইকারী জুতা ব্যবসায়ী “পূবালী সুজ” এর স্বত্ত্বাধিকারী ইসহাক খাঁন মনগড়া হিসাব দেখিয়ে উত্তরা ব্যাংক ঢাকা নওয়াবপুর এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক রংপুর শাখা ম্যানেজারের যোগসাজশে রংপুরের “সোয়াদ সু ষ্টোর” এর মালিক মাহবুব আলমের নিকট মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ রংপুরের এই ব্যবসায়ীর।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত ৮ এপ্রিল ২০২৫ইং পুবালি সুজ এর স্বত্ত্বাধিকারী ইসহাক খাঁন প্রেসক্লাব মার্কেট রংপুরের সভাপতি/ সম্পাদক বরাবর “অনাদায়ী টাকা পাওনা প্রসঙ্গে” একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় বিগত প্রায় দশ বছর যাবৎ প্রেসক্লাব মার্কেটের দ্বিতীয় তলার “সোয়াদ সু ষ্টোর” এর স্বত্ত্বাধিকারী মো: মাহবুব আলমের সাথে ব্যবসা করে আসছিলেন। ব্যবসায়ীক লেনদেন চলাকালীন পূবালী সুজ এর নিকট-১৮,৯৩,৫৭০/ ( আঠার লক্ষ তিরানব্বই হাজার পাঁচশত সত্তর) টাকা বকেয়া করেন সোয়াদ সু ষ্টোর। অভিযোগ সুত্রে আরও জানা যায়, গত ৮-০৪-২০২৫ইং পাওনা টাকা চাইতে গেলে ইসহাক খাঁনকে হুমকি দেন রংপুরের এই ব্যবসায়ী।

এ সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,রংপুর প্রেসক্লাব মার্কেটে অভিযোগ দায়েরের ঠিক এক সপ্তাহ পরে ১৫ এপ্রিল ২০২৫ইং “সোয়াদ সু ষ্টোরের ৮ লাখ, ১২ লাখ এবং ১৩ লাখ, মোট ৩৩ লাখ টাকা মূল্যমানের ৩টি চেক ডিজঅনার করে নেন ইসহাক খাঁন। এবিষয়ে সোয়াদ সু ষ্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মাহবুব আলম সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৪ সালে গচ্ছিত তিনটি চেক, ২০১৪ সালকে ২০২৪ সাল বানিয়ে, উত্তরা ব্যাংক নওয়াবপুর শাখা এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক রংপুর শাখা ম্যানেজারের যোগসাজশে ডিজঅনার করা হয়েছে। ইসহাক খাঁন নিজেকে একজন স্বচ্ছ এবং ইমানদার দাবী করলেও ২০১৪ সালের গচ্ছিত চেক ঘষামাজা করে ২০২৪ করা এবং ১৮.৯৩.৫৭০ টাকা বকেয়া দাবি করে তার বিপরীতে ৩৩ লাখ টাকার চেক জালিয়াতি করে ডিজঅনার করার কোন যৌক্তিক বা নৈতিক ব্যাখ্যা দিতে পারে কিনা একটু দেখেন।

তিনি আরও বলেন, ইসহাক খাঁনের মনগড়া দাবিকৃত বকেয়ার চাইতে-১.৪০৬.৪৩০/ চৌদ্দ লাখ চার হাজার চারশো তিরিশ টাকা বেশী করে চেক ডিজঅনার করার মানেই হলো দশদিন চোরের একদিন গিরীর। সাংবাদিকরা খবর নিলে জানতে পারবেন, ইসহাক খাঁন আমার মতো অসংখ্য ব্যবসায়ীকে ট্রাফে ফেলে আজ কোটিপতি বনেছে।

ইসহাক খাঁনের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে মাহবুব আলম বলেন তার অভিযোগ সম্পুন্ন মিথ্যা। তাকে কোন প্রকার হুমকি ধামকি দেইনি, আমি ইসহাক খাঁনের নিকট চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, “ইসহাক খাঁন ব্যবসা ও লেবাসের অন্তরালে একজন রক্তচোষা । আমি গত ১৫ এপ্রিল তার আসল চরিত্র সমন্ধে জানতে পারি, তিনি যে একটা প্রতারক সেটা স্পষ্ট হওয়ার পরে গত ১৭ এপ্রিল ২০২৫ইং একজন আইনজীবীর মাধ্যমে ইসহাক খাঁনকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করি।

লিগ্যাল নোটিশ সুত্রে জানাগেছে, ২০০৮ সাল থেকে পূবালী সুজ এর সাথে পাইকারী জুতার ব্যবসা করে আসছিলেন রংপুরের এই ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ীক সু-সম্পর্ক এবং নিয়মের কারণে “সোয়াদ সু ষ্টোর” এর নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক রংপুর শাখায় পরিচালিত হিসাব নম্বর-০১২২১১১০০০০৬৪৪৭ এর বিপরীতে চেক নম্বর -৭০২০২০৫ এ ৫ ডিসেম্বর ২০১৪ইং তারিখসহ টাকার পরিমাণ ৮ লক্ষ টাকা।
চেক নম্বর ৭০২০২০৬ এ ১০ ডিসেম্বর ২০১৪সহ টাকার পরিমান ১২ লক্ষ টাকা।
চেক নম্বর -৭০২০২০৭ এ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ইং তারিখসহ টাকার পরিমাণ ১৩ লক্ষ টাকার চেক, চেকে উল্লেখিত তারিখে প্রদান করে যাহা পূবালী সুজ এর মালিক ইসহাক খানের জিম্মায় থাকে। তারপর থেকে পূবালী সুজ ঢাকা থেকে “সোয়াদ সু ষ্টোর” রংপুর বাকিতে জুতা স্যান্ডেল নিতো এবং যথাযথ নিয়মে ইসহাক খাঁনের নীজ নামীয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি: রমনা কর্পোরেট শাখার চলতি হিসাব নম্বর-২৭৯৯ এ ইসলামী ব্যাংক রংপুর শাখা হইতে বাকি টাকা পরিশোধ করে আসছিল।

এভাবে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিয়মিত চলতে থাকে ব্যবসা। বিশেষ করে করোনা প্রাদুর্ভাব জনিত পরিস্থিতির কারনে ব্যবসা বন্ধ থাকলেও নিয়মিতভাবে পূবালী সুজের পাওনা পরিশোধ করেন রংপুরের এই ব্যবসায়ী।করোনা পরবর্তী পুনরায় ২০২২ /২০২৩ সালে ব্যবসা শুরু হলে দুই ব্যবসায়ীর মাঝে কোন দেনা পাওনা ছিলনা কিন্তু “সোয়াদ সু ষ্টোর” এর ২০১৪ সালে পূবালী সুজ এর মালিক ইসহাক খাঁনের নিকট গচ্ছিত চেক তিনটি ফেরত চাইলে, ইসহাক খাঁন চেক তিনটি দিবো দিচ্ছি, ফাইল খুঁজে পাচ্ছিনা বলে তালবাহানা করতে থাকেন। ইসহাক খাঁনের এই কথায় বিশ্বাস করে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে নীজ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন রংপুরের এই ব্যবসায়ী। হঠাৎ করে গত ১৫ এপ্রিল ২০২৫ইং মার্কেন্টাইল ব্যাংক রংপুর শাখা মাধ্যমে জানতে পারেন উল্লেখিত চেক তিনটি ডিজঅনার হয়েছে। মার্কেন্টাইল ব্যাংক কতৃপক্ষের নিকট উক্ত চেকের ফটোকপি সংগ্রহ করে দেখাগেছে জালিয়াতি পুর্বক ২০১৪ তারিখের স্থলে ২০২৪ লিখে উত্তরা ব্যাংক নবাবপুর শাখা ঢাকায় নগদায়নের জন্য উপস্থাপন করে ডিজঅনার করেন। যাহা স্পষ্ট জালিয়াতি এবং ব্যবসায়ীক বিশ্বাস নীতি ভঙ্গ করা বৈকি কিছু নয়। ১৭ এপ্রিল পাঠানো এই লিগ্যাল নোটিশ প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যেই উক্ত চেক ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরা ব্যাংক ঢাকা নওয়াবপুর শাখা ম্যানেজার বলেন, ব্যাংকিং নিয়মানুযায়ী চেক ডিজঅনার করা হয়েছে, একাউন্ট হোল্ডারের অভিযোগ সত্য নয়। একই মন্তব্য করেন মার্কেন্টাইল ব্যাংক রংপুর শাখার ম্যানেজার।

উপরোক্ত বিষয়ে পূবালী সুজের স্বত্ত্বাধিকারী ইসহাক খাঁনের নিকট জানতে চাইলে, তিনি প্রেসক্লাব মার্কেটে অনাদায়ী ১৮,৯৩,৫৭০ বকেয়া আদায়ে লিখিত অভিযোগের কথা স্বীকার করেন। তবে ৩৩ লাখ টাকার চেক ডিজঅনার করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমাকে হুমকি দেন সোয়াদ সু ষ্টোর এর মালিক মাহবুব আলম ও তার ছেলে। এই ক্ষোভেই আমি সোয়াদ সু ষ্টোরের ৩৩ লাখ টাকার চেক ডিজঅনার করাই। তিনি আরও বলেন সোয়াদ সু ষ্টোর আইনগত পদক্ষেপ নিলে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি ঝামেলা নয় সমাধান চাই, আপনারা একটু চেষ্টা করে দেখেন বিষয়টি সমাধান করে দেয়া যায় কিনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট