মুজাহিদ হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় পরকীয়ার অভিযোগে রানা হামিদ (৩৮) নামের এক বিজিবি সদস্যকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বড়পই পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রানা হামিদ এক মেম্বার পদপ্রার্থীর স্ত্রীর ঘরে গোপনে প্রবেশ করেন। বিষয়টি ওই নারীর স্বামী টের পেয়ে ঘরের দরজা আটকে প্রতিবেশীদের ডাক দেন। পরে এলাকাবাসী রানা হামিদকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে রাখে। ঘটনার সময় অভিযুক্ত নারী সবার অগোচরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

স্থানীয়রা আরও জানান, অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য এর আগেও একাধিকবার এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এবং একাধিকবার গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন।

ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, “রাতে ঘরের পাশে একজন লোককে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে আলো জ্বালিয়ে দেখি রানা ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে আটকে রাখার চেষ্টা করলে সে আমাকে আহত করে পালানোর চেষ্টা করে। পরে আমার ছেলে ও ভাইয়ের সহায়তায় আমরা তাকে আটক করি।”

ঘটনার পর থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে রানা হামিদকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য রানা হামিদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো ও উদ্দেশ্যমূলক।”

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুনসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “রানা হামিদকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।