গতকয়েকদিন ধরে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। সাথে সাথেই বজ্রপাত ও হালকা হাওয়া বইছে। কলকাতা সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। ফুঁসছে নদী। বহু এলাকা য় নদীর বাঁধে ফাটল ধরা দিতে পারে। আগাম সতর্কতা স্হানীয় প্রশাসনের। সুন্দর বন এলাকার বিভিন্ন যায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। কলকাতা সহ হাওড়া এবং উত্তর বঙ্গের বহু জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বহু জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তা ঘাটে পানি র নীচে চলে গেছে। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে উস্তি এবং বারুইপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ও সুন্দর বন জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতির উপর নজরদারি শুরু করেছে। এবং পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি বিভিন্ন জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন জেলা প্রশাসকের সাথে। এবং নবান্ন থেকে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম বাংলার সরকার। তৈরি রাখা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মোকাবেলা বাহীনির সদস্যদের। সেই সঙ্গে ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সুদূর সিকিম থেকে আসা তিস্তা নদীর জল। এই তিস্তা নদীর জল জল সিকিম থেকে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিম বাংলার উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন যায়গায় থেকে প্রবাহিত হয়ে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে গিয়ে পড়ছে।প্রবল বেগে প্রবাহিত জল যদি পশ্চিম বাংলার উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন যায়গায় ভাসিয়ে দিয়ে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পড়ে তাহলে বিপদে কোন শেষ থাকবেনা। বহু দিন ধরেই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করছেন দুই দেশ। কিন্তু পশ্চিম বাংলা সরকারের কিছু অসুবিধা র কারণে থমকে রয়েছে প্রকৃত অর্থে ভারত ও বাংলাদেশের জল চুক্তি। তিস্তার হড়ফা জলের তোড়ে গতবারের বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ভেসে যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প। সেই সঙ্গে বহু সেনা হড়ফা জলের তোড়ে ভেসে যায়। সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়।ক্ষতি কয়েক হাজার মানুষের।ক্ষতি হয় কয়েক লাখ মানুষের।তাই আগে থেকেই তিস্তা নদীর জল সিকিম থেকে কতটা ধাবিত হচ্ছে তা লক্ষ্য করছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা।।