শিল্পী আক্তার রংপুর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ভারত এতই খারাপ যে পানিকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। পানি কখনো মারণাস্ত্র হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও কোন রাষ্ট্র পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেনি। সেটা ভারত করিয়ে দেখিয়েছে। ভারত কখনো আমাদের তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দেয়নি। এবার আমরা তিস্তাসহ সকল অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করে ছাড়বো।
রোববার বিকেলে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে তিস্তার ন্যায্য হিস্যার দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে গণ পদযাত্রার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠিত তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক বিএনপি রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণপদযাত্রা ও সমাবেশে বিশেষ ও অতিথি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, রংপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির আহবায়ক শামসুজ্জামান শামসহ রংপুরের আট জেলার বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ভারত সরকার শুধু তিস্তা নয় সারা বাংলাদেশের ৫৪টি নদ-নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা অনেক আগেই তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি আদায় করতে পারতাম। কিন্তু স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় না আসতো।
বিগত স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা তিস্তাসহ অন্যান্য নদী গুলোর পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য কখনো ভারতের কাছে একটি দাবিও জানাননি। শেখ হাসিনা সব সময় ভারতকে খুশি করে চলেছেন।স্বৈরাচার সরকার থাকলে অভিন্ন নদীসহ তিস্তা নদীর কোন সংস্কার তারা কখনো করত না।
তিনি বলেন, ভারত তিস্তার পানি বন্ধ করেছে, ফারাক্কার পানি বন্ধ করে দিয়েছে। তারা অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি তারা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা পানিকে মারনাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। সারা বিশ্ব ভারতের এই কার্যকলাপ দেখেছে।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা তিস্তা নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছি। ইতিপূর্বে ও তিস্তা নিয়ে আন্দোলন করা হয়েছে। এখন তিস্তা পাড়ের মানুষকে নিয়ে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করে ছাড়বোই ইনশাল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে তিস্তাব বাচাও নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, যতদিন না আমাদের এই তিস্তার পানিসহ নদীর ন্যায্য হিস্যা আদায় হবে না ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
আলোচনা সভা শেষে একটি জাগো বাহে তিস্তা বাচাও স্লোগানে একটিরগণ পদযাত্রা প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি নেতৃত্বে শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে রংপুর জেলা স্কুলের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তিস্তা পাড়ের মানুষসহ আট জেলার কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন