তানোর প্রতিনিধিঃ জাকির হোসেন-টুটুল।
রাজশাহীর তানোর এর বাধাইড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান (বিএনপি- নেতা) কামরুজ্জামান হেনার ভাই, খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত খাইরুল ইসলামের বাড়ি বাধাইড় ইউপির নারায়নপুর গ্রামে। তিনি বাধাইড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান হেনার ভাই।
গত ১৩-মে (মঙ্গলবার) ইউপির একান্নপুর আদিবাসী গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ১৪- মে” (বুধবার) ভিকটিম নারী মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দিতে গেলে ইনচার্জ থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে অভিযোগ না দিতে ভিকটিমকে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন এক বিএনপি নেতাসহ, তার সাঙ্গপাঙ্গরা। (বিএনপি) নেতার ভাইয়ের এই ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিতে মরিয়া একটি পক্ষ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী ওই নারীকে কু-প্রস্তাব ও নানা প্রলোভন দিয়ে আসছিল খাইরুল। গত ১৩- মে (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে খায়রুল ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে ওই আদিবাসী নারীকে জাপটে ধরে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করেন।
এসময় ওই নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে বিধস্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
জানতে চাইলে বাধাইড় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান হেনা বলেন, ঘটনা আমার অজানা। তবে তার চলাফেরা ভালো না। তিনি বলেন, অপরাধ করলে তার শাস্তি হবে। গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হেনার ভাই খাইরুল মদ পান করে এলাকায় এক প্রকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। যাকে তাকে গালমন্দসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছে, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিতে মরিয়া হয়ে পড়েছে তারা। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছে না।
জানতে চাইলে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কমলেশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধর্ষণ করেনি, ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। ভিকটিম আজ ১৪- মে” (বুধবার) সকালের দিকে অভিযোগ দিতে এসেছিল, তাকে থানায় অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে খাইরুলের ০১৭৬৫০৩৫৭২৬ এই মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে তানোর
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, আমি এই মাত্র শহর থেকে এসেছি, এঘটনায় অভিযোগ হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।