জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বর্তমানে একজন বলিষ্ঠ, সৎ ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার নেতৃত্ব ও তরুণদের বিজয় জাতির ইতিহাসে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই আন্দোলন শুধু শেখ হাসিনার স্বেচ্ছা পদত্যাগ নয়, বরং তরুণদের অব্যাহত সংগ্রাম ও সাহসিকতারও প্রতিফলন।
মেজর (অব.) মাহমুদ একজন দক্ষ বক্তা, সাহসী সংগঠক ও স্বপ্নবান তরুণ। সুদর্শন চেহারা, বলিষ্ঠ কণ্ঠ ও নিরহংকারী আচরণে তিনি সকলের দৃষ্টি কেড়েছেন। গাজীপুর-৩ আসনে তরুণ প্রজন্মসহ সাধারণ জনগণের মধ্যে তিনি একজন আশার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
তিনি ১৯৯০ সালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত কাঁইয়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আবুল কালাম আজাদ ছিলেন একজন পোশাক শিল্প কর্মকর্তা এবং মাতা গৃহিণী। আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সেনাবাহিনীতে ২০০৮ সালে যোগ দেন এবং ২০১০ সালে অফিসার হিসেবে কমিশন পান। কর্মজীবনে ন্যায়পরায়ণতা ও সাহসিকতার জন্য তিনি প্রশংসিত হন। ২০১৯ সালে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।
তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে বিবিএ ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ (HRM) সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া হার্ভার্ড, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন লিডারশিপ ও ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করলেও রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের সেবা করাকেই তিনি জীবনের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
মেজর (অব.) মাহমুদের নেতৃত্বে জুলাই বিপ্লব একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে। তার মতে, তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ। প্রযুক্তিগত ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে গড়ে তোলা তরুণরাই হতে পারে সোনার বাংলার কাণ্ডারী। তিনি বিশ্বাস করেন, সৎ ও সচেতন নেতৃত্বই সমাজকে দুর্নীতি ও অন্যায় থেকে মুক্ত করতে পারে।