আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। সংঘর্ষ চলাকালে দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের দশজন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার পশ্চিম বাইপাইল এলাকার কাইচাবাড়ি রোডে অবস্থিত প্রুডেন্ট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর অস্ত্র উদ্ধার ও জড়িতদের ধরতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। আহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

আটককৃতরা হলেন, ইকরামুল ইসলাম (২৮), নূর আলম (২৪), আলম খন্দকার (৩ঌ), পলাশ (৩৩), আবু বক্কর সিদ্দীক (৪৭) , মোক্তার হোসেন (৩৩)।

সংঘর্ষের বিষয়ে স্থানীয়রা জনায় , দুপুরে হারুন মন্ডল নামের এক ব্যক্তি নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে লোকজন নিয়ে কারখানার সামনে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করতে আসে। এসময় বিএনপির অপর একটি পক্ষ দেশী বিদেশী অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালাতে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে দুই রাউন্ড গুলি চারটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, সকাল থেকে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করছিলেন বিএনপির নেতা হারুন মন্ডল ও তার দলবল। দুপুরের দিকে ঢাকা-১৯ আসনের বিএনপির সাবেক সাংসদ ডা সালাউদ্দিন বাবুর অনুসারী স্থানীয় আলমগীর হোসেন, রিয়াদ মোল্লা, দেওয়ানসহ প্রায় ৪০জনের অধিক লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। এসময় তারা দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

সংঘর্ষের বিষয়ে বিএনপি অনুসারী আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের নামে প্রুডেন্ট কারখানার ঝুপ নামানোর চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি অনুসারে আজকে মালামাল অপসারনের কাজ করতে গেলে আগে থেকে দেশী ও বিদেশী অস্ত্র নিয়ে বসে থাকা হারুন গ্রুপ আমাদের ধাওয়া করে, আমরা জানের ভয়ে পালিয়ে যাই। এখন শুনতে পাচ্ছি আমরা নাকি গুলি ফুটিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এরপর অভিযান চালিয়ে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি। এছাড়াও সন্দেহজনক ভাবে ৬জনকে আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।