এমনি কিছু প্রশ্ন, আক্ষেপ ও অভিমান নিয়ে এসেছেন অভাবের তাড়নায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক এর সাথে দেখা করতে কিন্তু সে সুযোগ তার কপালে জোটেনি।বয়স্ক মানুষ দোতলায় উঠতেই বলে এটা পৌরসভায় হবে পৌরসভায় যান আর পৌরসভায় গেলে বলে উপজেলায় যান এমনিভাবে চক্কর খাইতে খাইতে দিন পার করছেন রিয়াজ উদ্দিন এর মতো অনেক পরিবার। যাহারা ২ মাস আগে টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে পণ্যসামগ্রী পেয়েছিল কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস যাদের প্রয়োজন তাঁরা হচ্ছে বঞ্চিত।
রিয়াজ উদ্দিন পেশায় শাকসবজি বিক্রেতা।সে প্রথমে ভাঁড়ে করে শাকসবজি নিয়ে পৌরশহরের অলিগলিতে বিক্রি করে বেড়াতেন। বর্তমান পেডেল চালিত ভ্যানে করে হেঁটে হেঁটে পৌরশহরের অলিগলিতে শাকসবজি বিক্রি করে বেড়ান। সকাল হতে দুপুরের আগ পর্যন্ত যা বেচাকেনা হয় সেটা নিয়ে গ্রামের মসজিদের মোয়াজ্জেমের দায়িত্ব পালন করতে ছুটে আসেন মসজিদে। তার পরিবারের ৫ জনের ভরণপোষণ তাঁর উপর। রিয়াজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী এবং স্বামী পরিত্যক্তা এক মেয়ে ও মেয়ের দুই সন্তানসহ ৫ জনের প্রয়োজন মেটাতে এই বয়সে ভ্যানে করে কিছু শাকসবজি নিয়ে পৌরশহরের অলিগলিতে ঘুরে বিক্রি করেন প্রতিদিন। এই অভাবের সংসারে কোন মতো টিসিবি পণ্যের টাকা সংগ্রহ করে তুলতেন টিসিবি পণ্য। কিন্তু স্মার্ট কার্ড হওয়ায় তাঁর কার্ডটি হয়নি। তিনি বলেন স্থানীয় কাউন্সিলর তাঁর কার্ডটি সেরে দেওয়ার কথা বলে নিয়েছিলেন।আজ ২ মাস হচ্ছে সেরে দিচ্ছেন? টিসিবি পণ্য পেলে তাঁর অভাবের সংসারে অনেক উপকার হতো এই বলে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
এই ৭৫ বছরের রিয়াজ উদ্দিন পরিবারের ৫ জনের ভরণপোষণ দায়িত্ব পালনে পুনরায় কি সরকারি সহযোগিতার টিসিবি কার্ড (স্মার্ট কার্ড) পাবেন? তাঁর সহযোগিতায় এগিয়ে আসবে কি কোন মানবতার ফেরিওয়ালা, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক, নেতাকর্মীরা?