মুজাহিদ হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ২৮ মে ২০২৫, বিকেল সাড়ে ৫টায় পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী বিজয় চত্বরে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় ভাষণ প্রদান করেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সাহসী, কৌশলী, অস্ত্রহীন অগ্রসেনা, রাজপথের লড়াকু এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম।

তিনি বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিশ্বাস করে স্বচ্ছ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ রাজনীতিতে। এই দেশে আর নোংরা রাজনীতির জায়গা হবে না। এনসিপির লক্ষ্য—সহিংসতা, হানাহানি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জমি ও ঘাট দখলের মত জঘন্য অপরাধ রোধ করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা।”

তিনি কলেজসংলগ্ন গোলাপগঞ্জ মোড় এলাকায় মাদকের আস্তানা ও অপরাধ কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন এবং বলেন, “অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক, জনগণের শক্তির কাছে তাদের টিকতে হবে না। ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা বহু বছর দাপট দেখালেও শেষ পর্যন্ত পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাঁর দোসর ও দলীয় সন্ত্রাসীরাও আজ রাজনৈতিক এতিম।”

তিনি বলেন, “মতভিন্নতা গণতন্ত্রের অংশ, তবে তা কখনোই প্রতিহিংসায় পরিণত হওয়া উচিত নয়। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু তা হবে ন্যায়সঙ্গত ও শালীন। এনসিপি মনে করে—রাজনীতি হবে একটি সভ্য সমাজের প্রতিচ্ছবি, এবং নেতাকর্মীরা হবে প্রশিক্ষিত ও আদর্শ ব্যক্তিত্ব।”

ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কোনো মার্কাকে ভোট নয়—ভোট দিন সেই ব্যক্তিকে যিনি সৎ, কর্মঠ, ত্যাগী, জনবান্ধব এবং সর্বজনগ্রাহ্য। ভালো মানুষকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করুন।”

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ফ্যাসিস্ট দল আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “তারা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাই যুব সমাজ ও সাধারণ মানুষকে সজাগ থাকতে হবে।”

পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, আলী নাসের খান, সাদিয়া ফারজানা দিনা সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

আয়োজক সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন’-এর নেতা আল আমিন, জেমিয়ন রায়, সজিব, ফাহিম ও জুবায়ের জানান, এরইমধ্যে জেলার বিরল, বোচাগঞ্জ, কাহারোল ও বীরগঞ্জ উপজেলায় এনসিপির কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে খানসামা, চিরিরবন্দর ও দিনাজপুর সদরসহ মোট ৭টি উপজেলায় এনসিপির জনসংযোগ, পথসভা এবং লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।