আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার আদমদীঘিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য থানা পুলিশের রাত্রী কালিন টহল টিমের পাশাপাশি ওসি নিজেও রাত ভর ছুঁটে চলেন এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। তার এই অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে চোর ও দুষ্কৃতিকারিরা আতঙ্কে থাকেন। ফলে দিন দিন কমছে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রতি দিনের মতো উপজেলার ছাতিয়ানগ্রামে টহল দেওয়ার সময় তাঁর গাড়ির শব্দ শুনতে পেয়ে চোরাই দুইটি গরু রেখে পালিয়ে যায় চোরেরা।
ছাতিয়ানগ্রামের মৎস্য চাষী হাসিবুল ইসলাম শাকিল বলেন, ওসি স্যার তাঁর গাড়ি নিয়ে প্রায় রাতেই আমাদের ছাতিয়ানগ্রামে টহল দেন। আগে কোনো ওসি স্যারকে আমরা রাতে টহল দিতে দেখিনি। তাঁর এই টহল দেওয়া দেখে চোর, ডাকাত ও ছিনতাইকারিদের উৎপাত আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। বুধবার রাতে পুকুরে খাবার দিতে যাওয়ার সময় তার সাথে আমার দেখা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তিনি ছাতিয়ানগ্রাম হঠাৎ পাড়ার লাল মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের দুইটি গরু উদ্ধার করেন।
গরু ফিরে পেয়ে মনোয়ারা বেগম ওসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমরা ঘুমিয়ে যাওয়ার পর বাড়ির গোয়াল থেকে দুইটি গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলো চোরের দল। এরপর গরুগুলো নিয়ে ছাতিয়ানগ্রাম-তিলকপুর পাকা সড়কে আসার পর ওসি স্যারের গাড়ির শব্দ শুনে তারা গরুগুলো রেখেই পালিয়ে যায়। চুরি যাওয়ার কয়েক মিনিটের ব্যবধানে গরুগুলো উদ্ধার করে দেওয়ায় থানা পুলিশের প্রতি আমরা অনেক কৃতজ্ঞ।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য রাত্রী কালিন টহল টিমের পাশাপাশি আমি নিজেও প্রায় প্রতি দিন রাতে থানা এলাকার কোথাও না কোথাও টহল দিয়ে থাকি। সেই ধারাবাহিকতায় ছাতিয়ানগ্রামে টহল দেওয়ার সময় দুইটি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও চোরের দল পালিয়ে যায়।
প্রকাশক ও সম্পাদক : জাহাঙ্গীর আলম বাবু
মোবাইল : ০১৭১১৩১১০৭৪-০১৫৫৬৮১৮৬৮০
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : পশ্চিম শেওড়াপাড়া ইকবাল সরণি মিরপুর ঢাকা কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত